কোর্সটি সম্পর্কে জানুন
একজন সাংবাদিকের জন্য প্রকৃত সত্য খুঁজে বের করার কাজটি সহজ নয়। কঠিন এই পথ সহজ হতে পারে যদি আপনি অনুসন্ধানে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেন। এই কোর্সের ছয়টি অধ্যায়ে কিছু পাঠ, কিছু ভিডিও এবং কিছু উদাহরণের মাধ্যমে পদ্ধতিটি সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কোর্সটি আপনাকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মৌলিক দিকগুলো জানাবে।কোর্সটি করে কী শিখবেন
- অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কী কী উপাদান থাকতে হয়
- অনুসন্ধানী ও গতানুগতিক প্রতিবেদনের মধ্যে পার্থক্য
- অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ধারণা কোথায় পাবেন
- স্টোরির ধারণা মূল্যায়ন করবেন কীভাবে
- অনুসন্ধানী গবেষণা কীভাবে করতে হয়
- একটি প্রতিবেদনে কীভাবে ফোকাস ঠিক করতে হয়
- কীভাবে কার্যকর তথ্যদাতা খুঁজে বের করবেন
- অনুসন্ধানী সাক্ষাৎকার নেওয়ার কলাকৌশল
- সূত্রকে সুরক্ষা দেওয়ার উপায়
- অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখার কলাকৌশল
- টেলিভিশনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখবেন কীভাবে
- নীতি-নৈতিকতা: দায়িত্ব ও সংবেদনশীলতা
কোর্সটি কারা করতে পারবেন
সাংবাদিক, সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এবং এই পেশায় আগ্রহী যে কেউ কোর্সে অংশ নিতে পারবেন।কোর্সটি কীভাবে করবেন
ছয়টি অধ্যায়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে পাঠ, কুইজ ও ভিডিও লেকচার থাকবে এবং শেষে একটি মূল্যায়ন কুইজ পাবেন। সবগুলো মূল্যায়ন কুইজের নম্বর যোগ করে আপনার চূড়ান্ত ফল নির্ধারিত হবে এবং আপনি একটি সনদ পাবেন। ছয়টি অধ্যায়ের বাইরে আরও জানতে চান? অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নানা দিক নিয়ে বাড়তি পাঠ, ভিডিও এবং বিখ্যাত সব অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের উদাহরণসহ আলোচনা পাবেন রিসোর্সে।প্রশিক্ষকদের সম্পর্কে জানুন
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞ চার সাংবাদিক কোর্সটির প্রশিক্ষক। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণের মাধ্যমে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পুরো প্রক্রিয়াটি তাঁরা কোর্সে তুলে ধরেছেন।সাংবাদিক, প্রশিক্ষক, শিক্ষক, লেখক ও গবেষক কুর্রাতুল-আইন-তাহ্মিনার ইন-ডেপথ সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা ৩৪ বছরের। যৌনকর্মীদের বিষয়ে তাঁর অনুসন্ধানী গবেষণা রয়েছে। কাজ করেছেন ঢাকা ক্যুরিয়ার, বিবিসি বাংলা রেডিও, আইপিএস এবং প্রথম আলোয়। ছিলেন বেশ কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মেন্টর।
সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পড়ান। সাংবাদিকতা ও শিক্ষকতায় তাঁর ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা। অনেক আলোচিত প্রতিবেদন করেছেন, পেয়েছেন পুরস্কারও। সাংবাদিকতা বিষয়ে তাঁর কয়েকটি বই রয়েছে, গবেষণাও করেন।
মিরাজ আহমেদ চৌধুরী গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের [জিআইজেএন] বাংলা সম্পাদক। পত্রিকা ও টেলিভিশনে তাঁর কাজ করার ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আলোচিত কয়েকটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছেন। তিনি লেখালেখি, গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন অধ্যাপনার সঙ্গে জড়িত।
বদরুদ্দোজা বাবু পুরস্কারপ্রাপ্ত অনুসন্ধানী সাংবাদিক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে করা তাঁর কয়েকটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ব্যাপক সাড়া ফেলে। মাছরাঙা টেলিভিশনের আলোচিত অনুষ্ঠান ‘অনুসন্ধান’-এর সাংবাদিক, পরিচালক ও সম্পাদক ছিলেন। পত্রিকা-টেলিভিশন মিলিয়ে সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞতা ২১ বছরের বেশি।